বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সার্বিক দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩-এ (২৭ মে, মঙ্গলবার) কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া এবং মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।
এক বার্তায় উপাচার্য বলেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে বাংলা ছিল সৃষ্টির এক অপূর্ব রূপকল্প। তাঁর অমর সৃষ্টিকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই পূর্ববঙ্গ। এদেশের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ তাঁর মননে যে নান্দনিক ভাব ও ভাষাশিল্প সৃষ্টি করেছিল, সেটাই আজ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির গৌরবময় অর্জন। এদেশের নিসর্গ, প্রাত্যহিক জীবন, সমাজ-রাজনীতি, মানবতাবোধ, দ্রোহ এবং সাহিত্যাদর্শে রবীন্দ্রনাথ মিশে আছেন এক অকৃত্রিম আত্মিক বন্ধনে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মকে চির অম্লান করে রাখতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তাঁর দর্শন, চিন্তা ও আদর্শ এই দেশের মানুষের জাতীয় ঐক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।”
এরপর যথাক্রমে একাডেমিক ভবন-১ এবং ভবন-৩-এ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্রসংগীত ও রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা।
দুপুরে একাডেমিক ভবন-৩-এর চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ‘তারুণ্য মেলা’। মেলার উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এরপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জনাব নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন তারুণ্য মেলা উপকমিটির আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জান্নাতুল মাওয়া মুন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক জনাব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য দেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও উৎসবের সদস্য-সচিব মো. মাইনুল ইসলাম।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘রবীন্দ্রনাথের পরিবেশচিন্তা’ বিষয়ক সেমিনার। উপ-উপাচার্য মহোদয়ের সভাপতিত্বে এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাবেদ ইকবাল।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনে তারুণ্য মেলা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, সুধী সমাবেশ, সমাপনী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
এসবি/আরএন