কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালগুড়ি সীমান্তে তিন পরিবারের ১৪ রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও কিশোর কিশোরীকে আটক করে বিজিবি’র কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বুধবার ভোরে উপজেলার চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নয়ারহাট বাজারের পাশে রাস্তা হারিয়ে ঘোরাফিরা করছিলো রোহিঙ্গার দলটি। এসময় ফজরের নামাজ শেষে মুসুল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে এদের সন্দেহজনক চলাফেরা দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেয় এবং ভোর রাতে তাদেরকে ভারত থেকে বাংলাদেশে জোড় পুর্বক পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায়। পরে এলাকাবাসী ১৪ রোহিঙ্গাকে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় নিয়ে যায়। জাহাঙ্গীর আলম এ ঘটনা জানার পর ভাওয়ালগুড়ি বিজিবি ক্যাম্পে ঘটনাটি জানায় এবং বিজিবি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি পক্ষ তাদের এখানে এনেছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত রোহিঙ্গাদের সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
আটককৃতরা হলো- শহিদুর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে, জাহিদ আলম, তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং মাহমুদুল্লাহ, তার স্ত্রী রুমানা, দুই মেয়ে ও এক ছেলে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গা আটকের ঘটনাটি জানতে পেরেছি। তবে এখনো তাদের থানায় আনেনি।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক জানান, আটককৃতরা সকলেই রোহিঙ্গা। তারা কোথা থেকে কিভাবে এলো তা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এএইচ/এসআর