কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ভিটা বাজারের ১৪টি দোকান-পাট লণ্ডভণ্ড হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বড় ধরনের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও সামান্য আহত হয়েছেন পথচারী আব্দুস সোবহান ও রতন মিয়া।
শনিবার রাত ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা বাজারের ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
রবিবার দুপুরে বড়ভিটা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ১৪টি দোকান-পাট বিধ্বস্ত হওয়ার চিত্র। এ সময় ব্যবসায়ীরা ভেঙে পড়া গাছ সরানোর চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়ী ও বাজারে থাকা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৪ দোকানের মালামাল একটিও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। দোকানে থাকা ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত আইয়ুব আলী, হাফেজ আলী, জমসেদ আলী ও এমদাদুল হক জানান, শনিবার রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ৫০ বছরের বিশাল আকৃতির বট গাছটি পড়ে তাদের প্রত্যেকের দোকান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসলেও দোকানের কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা আরও জানান, সব দোকান মিলিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে সরকার যদি তাদের সহযোগিতা না করে, তাহলে তারা পথে বসতে পারবেন।
স্থানীয় মহাসিন আলী মন্জু ও সুনীল চন্দ্র রায় জানান, বড়ভিটা বাজারের বট গাছটি ১৯৭৬ সালে রোপণ করেছিলেন তৎকালীন বাজার কমিটি। গাছটির কারণে বড়ভিটা বাজারের মানুষজন গরম কালে অনেকটা প্রশান্তি পেতেন। কিন্তু শনিবার রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছটি দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে এবং ১৪টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা: জান্নাতি খাতুন জানান, আকস্মিক ঝড়ে বড়ভিটা বাজারের ৫০ বছরের পুরনো বট গাছটি পড়ে বাজারের মোট ১৪টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। ২টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতি পুরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, রবিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে তাদের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হবে।
এসি/আরএন