নাটোরের সিংড়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে যুবদল নেতাসহ চারজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার রাত ১০ টায় উপজেলার দমদমা মাঠের কাটাজোলা নামক খালের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত স্থানীয় জনতার ধস্তাধস্তি ও বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত উদয় মিজান ও আদনান মাহমুদ নামের সিংড়ার দুই সমন্বয়ককে রাতেই আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার দমদমা বিল এলাকা থেকে তারাবির নামাজের পর পাহারাদারকে মারপিট করে বিএডিসি একটি গভীর নলকুপের পাঁচটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় একটি চক্র। এরপর থেকেই কৃষকদের সেচ মোটর ও ট্রান্সফরমার চুরি রোধে পাহারাদার নিয়োগ করেন এলাকাবাসী। সোমবার রাত ১০টার দিকে দমদমার ওই বিলে চোর সন্দেহে চার যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
গণপিটুনির শিকার যুবকরা হলেন বড় চৌগ্রামের মৃত মজাহার আলীর ছেলে এবং চৌগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সোহাগ হোসেন (৩৭), বড় চৌগ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মণ্ডলের ছেলে সালমান (২২), ছোট চৌগ্রামের আনছার আলীর ছেলে রায়হান (৩৫), এবং একই গ্রামের মৃত হারেজ মণ্ডলের ছেলে আল আমিন (২৫)। এদিকে খবর পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় আনার সময় দমদমা ছোট ব্রীজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তথ্য নিতে একাধিকবার থানায় যাওয়া হলেও পুলিশ সদস্যরা থানায় ঢুকতে দেননি, কারণ তাদের দাবি ছিল, ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ আসামী রয়েছে। সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, চোর সন্দেহে ওই চার যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে। দুই সমন্বয়ককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে এবং ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই/আরএন