রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সাতটি দোকানের গোপন স্থান থেকে কয়েক হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার। অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস। এছাড়াও অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ দিদার হোসেন অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানে দেখা যায়, সয়াবিন তেল নেই বলে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানে গোপন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৫ লিটারের বোতলজাত ২০০ কার্টুন সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উৎপাদিত তেল যা ২০২৪ সালের মে থেকে অক্টোবরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে এমন ৫ লিটারের ৬ কাটুন সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদিত ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল যার এমআরপি ৮১৮ টাকা কিন্তু ৮৫০-৮৫২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এসব অপরাধে কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স রামগঞ্জ জেনারেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স রতন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স নূর স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, আল আরাবিয়া গ্রোসারী এন্ড চাইনিজকে ৫ হাজার টাকা, মায়ের দোয়া স্টোরকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স তুহিন জেনারেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা এবং হাজী মিজান এন্টারপ্রাইজকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, বাজারে তেলের সংকট নেই কিন্তু কিছু পাইকারি ও খুচরা অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় তেল লুকিয়ে রাখার কারণে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখানো হচ্ছে। মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।