ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে মায়ের দাফনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষে নাসিরুদ্দিন (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে টেঁটা, বল্লম, লাঠিসোঁটা, হেলমেট, লাইফ জ্যাকেট এবং ইটপাটকেল ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন এবং কয়েকটি ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল না। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম জানান, স্থানীয় নুরুল হকের শতবর্ষী মৃত মায়ের দাফন নিয়ে ছয় ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। শুক্রবার রাতে এক ভাই অপর ভাইয়ের ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকালে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের লোকজন দুই দলে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
এসআর/আরএন