রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর শয়ন ঘর থেকে স্ত্রী মনিষা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আটঘরিয়া গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মনিষা খাতুন উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামের আজাদ আলীর স্ত্রী।
মনিষা খাতুনের পিতা মুনসাদ আলী বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের সময় বয়স কম ছিল। ওই সময় ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। দেড় মাস আগে মেয়ের বয়স হওয়ায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চাইলে ছেলে ও তার পরিবার আবারও ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।
এদিকে ছেলের মামা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিয়ের সময় জামাইকে একটি মোটরসাইকেল দেওয়ার কথা ছিল। টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানা নেই।
মেয়ের মামা সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে জানতে পারি ভাগ্নে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। পরে ৯৯৯ কল করে পুলিশকে জানাই। শুনেছি ছেলে কিছুদিন আগে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এ নিয়ে পরিবারে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এ বিষয়ে ছেলের মা শরিফা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরপর ছেলে বাড়ি থেকে চলে যায়। আর ফিরে আসেনি। পরে রাত ১১ টার দিকে ঘরে গিয়ে দেখি ছেলের বউ গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে।
বাঘা থানার ওসি আফম আছাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে গৃহবধুর স্বামী আজাদ আলী পলাতক রয়েছে।
এএইচএ/এসআর