পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠিতব্য মেলা নিয়ে জনমনে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মেলা বন্ধের জন্য পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় একটি মহল পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাবলিক মাঠে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে। ইতিমধ্যে মাঠজুড়ে মেলার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, যার অর্ধেকেরও বেশি শেষ হয়েছে।
এই মাঠটি শহরের একমাত্র খেলার মাঠ। এখানে প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলা হতো, শিশুরা খেলাধুলা করত, আর সন্ধ্যার পর স্থানীয়রা হাঁটাচলা করতেন। মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হওয়ায় এসব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এছাড়াও এই মাঠের চারপাশে রয়েছে আবাসিক বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল। এখানে মেলা বসলে পরিবেশ ও শব্দ দূষণ বাড়বে এবং একমাত্র সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে পাবলিক মাঠে এই মেলা বন্ধের দাবিতে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মুসুল্লিরা রোববার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মেলা বন্ধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
একাধিক অভিভাবক জানান, নভেম্বর মাসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই মুহুর্তে মেলার আয়োজন করা হলে বাচ্চাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হবে। সুতরাং এই মেলা বন্ধ করা সময়ের দাবী।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।”
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো মেলার অনুমতি দিইনি। এখনই স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।”
এএস/এসআর