জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যূত্থানে বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছেলে-মেয়েরা কয়জন জীবন দিয়েছে, তা হিসাব করে দেখুন। জীবন দিয়েছে সাধারণ মানুষ, শ্রমিকেরা, তাদের সন্তানরা। মাঝখানে ফায়দা লুটেছে কতিপয় রাজনীতিবিদ।
শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের তেঁতুলতলায় চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিসহ নানা অপরাধের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় জেলা জুড়ে লংমার্চের পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, “আপনি যদি কিছু চিত্র দেখেন, ঐ কেন্দ্র থেকে জেলা উপজেলায় একই চিত্র ছড়িয়ে পড়ছে। প্রত্যেক জেলা উপজেলায় ৫ থেকে ১০ জন চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, সিন্ডিকেটকারী, মাদক ব্যবসায়ী, বাটপার, কালপ্রিট আছে যারা যে উপজেলাতে রক্ত চুষে খাচ্ছে।”
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পাঁচ উপজেলার নেতাকর্মী এবং জাতীয় যুব শক্তির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে পঞ্চগড় পৌরসভার চিনিকল মাঠ থেকে শুরু হওয়া লংমার্চে পাঁচ উপজেলার নেতাকর্মীরা সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেন। এতে মাইক্রোবাস ও পিকআপের বহরও দেখা গেছে।
চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিসহ নানা অপরাধের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় জেলা জুড়ে লংমার্চ শুরু করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে শুরু হওয়া লংমার্চে মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে লংমার্চ করেন। পথে কয়েকটি স্থানে পথসভা করার কথা জানান এনসিপি নেতারা। এর আগে সকাল ১০টা থেকে আটোয়ারী, বোদা, দেবীগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল শোডাউন করে চিনিকল মাঠে জড়ো হন এনসিপি নেতাকর্মীরা।
লংমার্চের অংশ হিসেবে বিকেলে তেঁতুলিয়া এবং রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্ক চত্বরে সমাবেশ শেষে লংমার্চের কর্মসূচি শেষ ঘোষণা করা হয়।
লংমার্চের শুরুতে সারজিস আলম নিজে একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে অংশ নেন এবং চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
লংমার্চটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়। পথিমধ্যে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা এবং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে দ্বিতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পথসভায় বক্তব্য দেন সারজিস আলম।
প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লংমার্চে জেলার পাঁচ উপজেলার এনসিপি নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল দুর্নীতিবিরোধী নানা স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড।
লংমার্চ শেষে বাংলাবান্ধা থেকে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে সমাপনী বক্তব্য দেন সারজিস আলম।
এসআইএস/এসআর