আশুলিয়ায় বাসাবাড়ির সেফটি ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণে গোলাম রাব্বানী (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রনব চৌধুরী।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল দক্ষিণপাড়া এলাকার মোঃ রহমতুল্লাহর টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম রাব্বানী (৫০) ওই বাড়ির ম্যানেজার ছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতরা হলেন—সুইপার ইমান আলী (৪৫), ফারিয়া বেগম রত্না (৪৫), সোনিয়া আক্তার (৩৫), ইশরাত জাহান রিয়া (১৮) এবং শিশু মোঃ রোহান (০৭)। আহতদের মধ্যে সুইপার ইমান আলীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বাকি আহতরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে ওই টিনশেড বাড়ির সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য সুইপার ডাকা হয়। বাড়িটিতে পাশাপাশি দুটি সেফটি ট্যাংক ছিল। প্রথমে একটি সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করার পর, অন্যটি পরিষ্কার করতে গেলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা উড়ে গিয়ে টিনের চাল ভেদ করে ওপরে উঠে যায় এবং কক্ষের নিচের পাটাতনসহ দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় বাড়ির ম্যানেজার গোলাম রাব্বানী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সুইপার ইমান আলী গুরুতর আহত হন। এছাড়া ভাড়া থাকা কক্ষে থাকা শিশুসহ আরও অন্তত ৪ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রনব চৌধুরী জানান, “আমরা রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ঘটনার খবর পাই। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেফটি ট্যাংকে জমে থাকা গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।”
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এআই/আরএন