Sunday | 12 October 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Sunday | 12 October 2025 | Epaper
BREAKING: ট্রাইব্যুনালের ১৫ অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে      জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ২ দিন পেছালো      জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশে উত্তেজনা, ছত্রভঙ্গ করলো পুলিশ       এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা      দু’একজন উপদেষ্টা ও প্রশাসন একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে: পরওয়ার      এবারের নির্বাচনে আইনের শাসন কাকে বলে দেখাতে চাই: সিইসি      ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত জয়      

দাকোপে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ ২ দিনেও সংস্কার হয়নি

Published : Thursday, 9 October, 2025 at 8:56 PM  Count : 81

খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলার বটবুনিয়া এলাকায় ওয়াপদার প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তা সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এতে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নদীভাঙনে ৪০ থেকে ৪৫টি কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং প্রায় হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ, যার ফলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে ভাঙন কবলিত স্থানে বাঁধ পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসমত হোসেন এবং জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ জনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

#প্রায় হাজারো পরিবার এখনও পানিবন্দি, জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ
#তিন হাজার হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অমাবস্যায় ঢাকি নদীতে জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে হরিসভা মন্দির সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে ৩১ নম্বর পোল্ডারের অন্তর্গত এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে।

পরদিন বুধবার সকালে ভাটার সময় জিও টিউবে বালি ভরে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপর দুপুরের জোয়ারে আবারো পানি ঢুকে পড়ে। এতে উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী ও আড়াখালী এলাকার বহু ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর ও আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে আমন ফসলসহ সাধারণ মানুষ আরও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দাকোপের ৩২ ও ৩৩ নম্বর পোল্ডারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করেছে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। বর্তমানে ৩১ নম্বর পোল্ডারে জাইকার অর্থায়নে ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩,৭৫০ মিটার দীর্ঘ স্থায়ী নদী শাসনের কাজ চলছে।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৩১ নম্বর পোল্ডারের আওতায় রয়েছে পানখালী ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং চালনা পৌরসভা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলায় নদীভাঙনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। তারা প্রশাসনের নজরদারির অভাবের কথাও উল্লেখ করেন।

বটবুনিয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশ বালা, সনজিত বালা প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন, ভাঙন কবলিত স্থানটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা গুরুত্ব না দেওয়ায় আজ এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছি।

তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন গাজি বলেন, ঢাকি নদীর জোয়ারে অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়নি। দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলাবুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাকড়াবুনিয়াসহ গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ না থাকায় প্রায়শই নদীভাঙনের কারণে মানুষকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, বর্তমানে নদীতে উচ্চ জোয়ার চলছে। অতিরিক্ত পানির চাপে রাতে বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়নি। তবে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং ভাটার সময় বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করা হবে। চলমান নদী শাসন প্রকল্পের ধীরগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাঙন কবলিত স্থান প্রকল্পের আওতায় নেই। এছাড়া পাশ দিয়ে রিং বাঁধ নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা দিতে রাজি হয়নি, তাই বাঁধ মেরামত পুরোপুরি করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসমত হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকসহ আমরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। দ্রুত বাঁধ মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শুকনা খাবার, চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। আগের দিনও ৪০টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল।

এসএস/আরএন



LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close