শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে তানিয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে তার মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্ন্যাসীভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানিয়া আক্তার উপজেলার দক্ষিণ সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের মৃত আতাহার আলীর কন্যা। তানিয়ার স্বামী সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। তবে এই মৃত্যু নিয়ে এখনো কোন অভিযোগ করেননি তার পরিবারের লোকজন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত তানিয়া আক্তার গত ৫ অক্টোবর তার স্বামীর বাড়ি কলসপাড় ইউনিয়নের সূর্য্যনগর গ্রাম থেকে সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজ শেষে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এর দীর্ঘক্ষণ পর ঘরে ফিরে না আসায় তার মা জরিনা বেগম খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে একটি আমগাছের ডালে তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তানিয়াকে বাঁচাতে গাছ থেকে নিচে নামিয়ে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে তানিয়া মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন।
এদিকে, গাছের নিচে তানিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পড়ে ছিল। খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, তানিয়ার সাথে তার স্বামী বা পরিবারের কারও কোন প্রকার ঝগড়া, মনোমালিন্য বা বিরোধ ছিল না। তিনি কোন শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন না। কিন্তু কেন যে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল তা আমরা বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নিহতের মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এমএস/এসআর