খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বোয়ালখালী শালবন বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে বোয়ালখালী শালবন বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাজারো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থী এ মহতী ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
পূণ্যার্থীরা পঞ্চশীল গ্রহণের পর সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পানীয় দান, বুদ্ধমূর্তি দান, চীবর দান, কল্পতরু দানসহ নানাবিধ দান কার্য সম্পাদন করেন। এ সময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরো।
প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের রাউজান খৈয়াখালী ধম্মবিজয়ারাম বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ভদন্ত উপঞ্চ চাকমা মহাথেরো।
এছাড়াও ধর্মদেশক হিসেবে দেশনা প্রদান করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কামাকুছড়া ধাম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত লোকামিত্র মহাথেরো, জ্ঞাননন্দ মহাথেরো, লোকমিত্র থেরো এবং তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক করুণা বংশ থেরো।
প্রসঙ্গত, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তাঁর প্রধান নারী উপাসিকা বিশাখা মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি, রং, বয়ন ও সেলাই করে চীবর (বিশেষ পরিধেয় বস্র) তৈরি করে দান করেন। এই ঐতিহ্যের অনুসরণেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর এই দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব পালন করে থাকেন।
এসআর/আরএন