চা বাগানে পানির চাহিদার কথা জানাবে রোবট। প্রয়োজনমাফিক পানিও সেচ করবে সে। অন্যদিকে কোনো শিশু পানিতে খেলা করলে সে বিপদজনক অবস্থায় আছে কিনা, তা জানিয়ে দেবে রোবট। খেত-খামারে পোকার আক্রমণ নিয়েও সিগনালের মাধ্যমে চাষিকে জানিয়ে দেবে রোবট। এমন কিছু প্রযুক্তি তৈরি করেছেন পঞ্চগড়ের স্কুলপড়ুয়া প্রান্তিক ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানভিত্তিক ছয় দিনের কর্মশালায় অংশ নিয়ে এমন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন তারা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে Leadership the Programmable Logic Control and Artificial Intelligent World (এলপিএ) নামে একটি বিজ্ঞান ক্লাব। এই ক্লাবের আয়োজনে জেলার পাঁচ উপজেলায় রোবোটিক্স ও হোম অটোমেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ভিত্তিক কর্মশালায় অংশ নেওয়া দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জনকে বেছে নেওয়া হয় জেলা ভিত্তিক কর্মশালায় অংশ নেওয়ার জন্য।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা জেলার সমস্যা ও সমাধানভিত্তিক তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে এককভাবে তিনটি এবং দলীয়ভাবে প্রায় ৩০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। এর মধ্যে তিনজনকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা কৃষক, চা চাষি, চা শ্রমিক, শিশু এবং অগ্নিনির্বাপণের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র নির্মাণ করেছেন। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এগুলো বাজারে আনা সম্ভব। তারা আরও জানান, প্রান্তিক এলাকায় বসবাসের কারণে বিজ্ঞানচর্চা থেকে তারা বঞ্চিত। সরকারি উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক ল্যাব এবং রোবটিক্স গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা যাতে বিজ্ঞানচর্চায় আত্মনিয়োগ করে—এমন আহ্বান জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। পরে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর হাতে গাছ ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন। এ সময় বক্তব্য দেন ঘবংি ২৪ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন–এর জেলা প্রতিনিধি সরকার হায়দার, এলপিএ’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক মো. রাফি, পরিচালক সোলাইমান আলী প্রমুখ।
এসআইএস/এসআর