Thursday | 9 October 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Thursday | 9 October 2025 | Epaper
BREAKING: মালিবাগে দোকান থেকে প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ      যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না শুক্রবার       হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের      গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরাইল-হামাস      সেফ এক্সিট খুঁজছি না, বাকিটা জীবন দেশেই কাটাবো: পরিবেশ উপদেষ্টা      রসায়নবিজ্ঞানে নোবেল জয়ী তিন বিজ্ঞানী      শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা      

কুঁচিয়া মাছ ধরতে ‘রুহুঙ্গা’ ফাঁদ

Published : Wednesday, 8 October, 2025 at 4:12 PM  Count : 84

কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির পানিতে খেতের আইলে,খালে ও বিলে কুঁচিয়া (কুইচ্চা) শিকারীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। শিকারীরা (ফাঁদ) পেতে রাখছেন এসব স্থানে। কুঁচিয়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। পরিবারের ভাত-কাপড়ের জোগান আসে প্রাকৃতিক উৎসের এই মাছ কুঁচিয়া ধরেই। মাছটির নাম ‘কুঁচিয়া’ হলেও বিভিন্ন স্থানে কুঁইচা, কুইচ্চা, কুঁচে, কুঁচো নামেও পরিচিতি আছে। কুঁচিয়া মাছ ধরার ফাঁদটির নাম ‘রুহুঙ্গা’। এটি বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি। এটি দেখতে অনেকটা মাছ ধরার চাঁইয়ের মতো হলেও চাঁই না। তবে কোনো কোনো এলাকায় এই ফাঁদকে ‘উকা’ নামেও ডাকা হয়।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এলাকা ১৫০টির ও অধিক রুহুঙ্গা নিয়ে এসেছেন শিকারীরা। আগের দিন বেলা তিনটা থেকে চারটার দিকে স্যাঁতসেঁতে জমি, খালের যেখানে কিছু পানি লেগে আছে; তেমন স্থানে কেঁচো টোপ দিয়ে রুহুঙ্গা পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। সারা রাত এগুলো ওই জায়গাতেই থাকে। জিরের টোপ খেতে এসে রুহুঙ্গার ফাঁদে আটকা পড়ে কুঁচিয়া। আর বের হতে পারে না। পরদিন সকাল ৬টার দিকে এসে রুহুঙ্গা তোলেন শিকারীরা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি রুহুঙ্গা পেতে রাখেন তারা। সব কটিতেই কুঁচিয়া ধরা পড়ে না। কোনো কোনো দিন অনেকগুলো কুঁচিয়া পাওয়া যায়, কোনো কোনো দিন কম। তবে খালি হাতে কোনো দিনই বাড়ি ফিরতে হয় না তাদের। কুঁচিয়াগুলোকে জীবিত রাখতে ড্রামের মধ্যে পানিতে রাখা হয়। সপ্তাহে দুই দিন পাইকার এসে বাড়ি থেকে তা নিয়ে যান। এক কেজি কুঁচিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি করেন।

কুঁচিয়া অনেকটা বাইম মাছের মতো। সাধারণত পুকুর, হাওর-বাঁওড়, খাল বা ধানখেতের তলদেশে, মাটির গর্তে এগুলো থাকে। স্থানীয় মানুষের খাদ্যতালিকায় মাছটি না থাকলেও বিদেশে এই মাছের বেশ চাহিদা আছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে এই মাছ সংগ্রহ করে তাদের মতো অনেকেই বিক্রি করেন।

কুঁচিয়া শিকারী নিকলেস সরকার বলেন, ‘কুঁচিয়া ধরায় কষ্টও আছে। জির (কেঁচো) তোলা, এগুলা (রুহুঙ্গা) বিভিন্ন জায়গায় নিয়া (নিয়ে) পাতানি (পাতানো)। কোনো মাসে ভালো চলা যায় আবার কোনো মাসে অয় (হয়) না। ওটার (কুঁচিয়া বিক্রি) আয় দিয়ে আমার সংসার চলে। কুঁচিয়া মাছ ধরতে কোনো বাধা নাই। মাঝেমধ্যে নিজেও খাই। খুব স্বাদ।’

স্থানীয় বাসিন্দারা অরুন মল্লিক জানান, অনেকটা বাইম মাছের মতো কুঁচিয়া। সাধারণত পুকুর, হাওর-বাঁওড়, খাল বা ধানখেতের তলদেশে, মাটির গর্তে এগুলো থাকে। স্থানীয় মানুষের খাদ্যতালিকায় মাছটি না থাকলেও বিদেশে এই মাছের বেশ চাহিদা আছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে এই মাছ সংগ্রহ করে সমীরণের মতো অনেকেই বিক্রি করেন। 

তিনি বলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে কমলগঞ্জ উপজেলায় ৪ মাস হয়েছে শিকারীরা বাসা বাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। বিকাল হলে জীবিকা নির্বাহের জন্য এলাকার বিভিন্ন খালে বিলে শিকারীরা রুহুঙ্গা নিয়ে এসে কুঁচিয়া শিকার করেন। এসব বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়।

শ্রীমঙ্গল থেকে আসা পাইকার সমিরন শীল বলেন, আমি সম্পাতে ২বার শিকারীদের কাছ থেকে কুঁচিয়া সংগ্রহ করি। মূলত স্থানীয় বাজারেই তা বিক্রি করি। তাদের কাছ থেকে ২৫০-৩০০টাকা কেজি ধরে ক্রয় করে থাকি। ১০-২০ টাকা লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ফেলি।

এসএস/এসআর
সম্পর্কিত   বিষয়:  কমলগঞ্জ  


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close