দূর্গাপূজার টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বাড়তি যানবাহনের চাপে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এছাড়া বৃষ্টির কারণে গর্তে পানি জমে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। এতে করে যানজটে আটকে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০কিলোমিটার ও সিলেট মহাসড়কে কাঁচপুর থেকে রূপসী এলাকা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। মহাসড়ক দুটিতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের সদস্যরা যানবাহনের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল কাদির জিলানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও ঢাকাগামী লেনে দড়িকান্দি এলাকায় একটি রডভর্তি লরি বিকল হওয়ার কারনে এ দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বিকল হওয়া লরিটি সরিয়ে নিলেও বিকেলে চারটা পর্যন্ত এ যানজটের প্রভাব পড়ে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী অজয় কুমার পাল জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় থেকে যানজট শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হওয়া যানজটে আটকা পড়ে দুপুরে মদনপুর পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা থেকে ঘূরে কুমিল্লায় ফিরে যাওয়া সম্ভব। যানজটে পুরো দিন নষ্ট হয়ে গেলে।
মোগারাপাড়া চৌরাস্তার ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জানান, সকাল ১০টায় মোগরাপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে দুটার মধ্যে মদনপুর যাওয়া সম্ভব হয়নি। যানজটে আটকা পড়ে মদনপুর থেকে ফেরত আসতে হয়েছে।
ইউনিক পরিবহনের বাস চালক আসাদুর রহমান বলেন, তিনঘন্টা ধরে একই জায়গায় বসে থাকতে হয়েছে। যানজট নিরসনে কোথাও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতি বিরক্তিকর।
আল্লাহর দান পরিবহনের যাত্রী আলী আশরাফ অভিযোগ করে বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু সকালে রওনা হয়ে এখনো ভুলতা পার হতে পারেননি।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাসউদ্দিন জানান, এ মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের রূপসী পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি ছিল। তবে ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছেন। বৃষ্টিতে সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে পানি জমে যানচলাচল ধীরগতি হয়ে পড়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদির জিলানি বলেন, পূজার ছুটির কারণে মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রীবাহী যানবাহন কয়েক গুণ বেশি ছিল। তাই দুটি মহাসড়কে যানবাহনের চাপও বেড়েছে। এতে করে মেঘনা টোল প্লাজা থেকে যানবাহন টোল আদায়ে বাড়তি সময় লাগার কারণে গাড়ির দীর্ঘ লাইনে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক গড়িতে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন।
এইচএমআর/এসআর