বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিযয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। ধর্মীয় সহিংসতা আমি এবং আমার দল এই বাংলাদেশে দেখিনি। কিন্তু যখনি এই পূজা আসে তখন একটি স্বার্থানেষী মহল তাদের সাথে আমাদের যে ভ্রাতৃত্ব আছে, তাতে কালিমা লাগিয়ে এটা সম্প্রীতির দেশ নয়-এমন একটা প্রলেপ লাগাতে চায়।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুজ্জামান রতন বলেন, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান বলে কোন শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এই দেশটা, এই মানচিত্রটা সবার। সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর শারদীয় দুর্গোৎসব করেন। এই উৎসবটা আমরা সবাই মিলে করছি। শারদীয় দুর্গোৎসব নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ভয়, শঙ্কা নেই। মর্যাদারও কোন কমতি নেই। আসল কথা হলো সম্প্রীতির বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন কালার দিয়ে আমাদের সম্প্রীতির মধ্যে একটা রেশ বা ভেদাভেদ তৈরি করার একটা হীনমন্যতা সৃষ্টির চক্রান্ত করে একটি স্বার্থানেষী মহল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের সতর্কতা ও সচেতনার মধ্যে দিয়ে আমরা সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করেছি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুলতান আহমেদ, মিরকাদিম পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. শীপন জমদ্দার, মুন্সীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল গাজী, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর ফকির,
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক মুন্না, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জামাল, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক সরকার, যুবদল নেতা ফারুক মিজি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আদরসহ মন্দির ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এমএইচএস/এসআর