গ্রাম্য দলে যোগদান না করার অপরাধে নাটোরের সিংড়ায় এবারত আলী (৫৮) নামের এক বিএনপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য দলনেতা আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ এর বিরুদ্ধে। পরে আহত বাবাকে উদ্ধারে গিয়ে মেয়ে সুইটি খাতুনও (২৮) মারধরের শিকার হন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় উপজেলার মাধা বাঁশবাড়িয়া মসজিদের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯ টায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকাবাসী।
গ্রাম্য দলনেতা আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ এর নির্দেশে তার বাহিনী সুমন, বাবু, ফরহাদ, আলহাজ্ব সহ ১০ থেকে ১৫ জন ওই বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তি আহত সুইটি খাতুন জানান, তার বাবাকে কুপিয়ে জখমের খবর পেয়ে সিংড়া সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে যান। সেখানে দেখা মাত্র তার উপর লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয়। কোন কারণ ছাড়াই তাদের কে মারধর করে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় জীবন বাঁচিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার বাবার দুই পায়ে ১৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
আর আহত বিএনপি কর্মীর স্ত্রী সেলিনা বেগম মুঠোফোনে জানান, গ্রাম্য দলে ভর্তি না হওয়ার অপরাধে প্রথমে তার স্বামীকে পিটিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে মেয়েকেও মারধর করা হয়েছে। এসব গ্রাম্য দলের আমরা কিছুই বুঝি না। অযথা তাদেরকে হেনেস্থা করা হচ্ছে। আর দলে যোগদান না করলে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলেও দু’দিন আগে হুমকি দেয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে এই হামলার হুকুম দাতা গ্রাম্য দলনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তিনি গ্রামে নেই। এই ঘটনার সাথে তিনি কোন ভাবেই জড়িত নন। তাছাড়া আহত বিএনপি কর্মী তার আপন মামা। তবে হামলার বিষয়টি তিনি মুঠোফোনে শুনেছেন।
সিংড়া থানার ওসি মমিনুজ্জামান বলেন, গ্রাম্য বিষয়ে মারধরের খবর শুনেছি। আহতদের এজাহার দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসআই/এসআর