সুনামগঞ্জের
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে বিজিবি ও চোরাকারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ এক ব্যক্তির লাশ টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গুয়ার হাওরের রুপনগর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মধ্যনগর থানার ওসি মনিবুর রহমান বলেন, “লাশ থানায় আনা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভারতীয় গরু বহনকারী দুটি স্টিলবডি নৌকা আটক করে বিজিবি। এ নিয়ে চোরাকারবারিদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় উমর আলী (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। তিনি দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ বিজিবি-২৮ ব্যাটালিয়ন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ওই রাতে সীমান্তের ভেতরে প্রায় ১২০ জনের সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দল ভারতীয় গরুসহ একটি ট্রলার নিয়ে আসার সময় টহলদলের ওপর ইট, পাথর, বল্লম ও গুলিবর্ষণ করে। এতে নায়েক মো. আখিরুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযানে ৩৩টি গরু, একটি ট্রলার ও বিভিন্ন অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, “চোরাকারবারিরা আমাদের টহলদলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।”
এ ঘটনায় মধ্যনগরের সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরএ/ এসআর