মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক গৃহিনীর হাঁসের খামারে বিষ প্রয়োগ করে ৫২টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৫২ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক হরুন নেছা করুনা (৪৯)।
এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি পরিকল্পিত ভাবে তার হাঁসের খামারে প্রবেশ করে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন। এতে ৫২টি হাঁস মারা যায়।
হরুন নেছা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়ার ভবেরচর ইউনিয়নের পৈক্ষারপাড় এলাকায় হাঁস ও গরুর খামার পরিচালনা করে আসছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে হাঁসের খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পর ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে খামারে গিয়ে তিনি হাঁসগুলোর মৃত দেখতে পান।
এ ঘটনায় ভবেরচর ইউনিয়নের ৪ নং ইউপি সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হরুন নেছা।
অভিযোগে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে তারা বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ভুক্তভোগীর আশঙ্কা, যেকোনো সময় বিবাদীরা তার ও পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতি করতে পারে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ জানান, হাঁস মৃত্যুর ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমিও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রিগাণ মোল্লা জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে- বিষক্রিয়ার হাঁসগুলোর প্রাণনাশ হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য হাঁসগুলোকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রাণিসম্পদ বিভাগের ফরেনসিক পরীক্ষা করার পর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এইউ/এমএ