মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী জুলিয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধীকতায় জীবন-যাপনে তার নানা সংকট। অর্থ সংকটে তার পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তার সে সংকট নিরসনে পাশে দাঁড়িয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদল। মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা মাসুদ রানার সহযোগীতায় স্থানীয় ডি হলিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি হয়েছে জুলিয়ার।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় সরকারি হরগঙ্গা কলেজ অধ্যক্ষর অফিসে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের মাসুদ রানা ও ডি হলিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আক্তার হোসেন চাকুরীর অনুমোদন পত্র তুলে দেয়। তিনি মুন্সিগঞ্জের ডি-হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভ্যর্থনাকারী হিসেবে যোগদান করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুন নাহার, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান খান, প্রফেসর মো. আঃ মান্নান প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক মিয়া, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন, প্রফেসর আবু আহমদ আহসান কবির, প্রফেসর মো. হুমায়ুন কবির শেখ, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন, প্রভাষক সুলতান মাহমুদসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি শাহরিয়ার যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
ডি হলিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আক্তার হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখে যুবদলের মাসুদ রানা ভাই আমাকে এই বিষয়ে জানালে আমি আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরির ব্যবস্থা করি।
যুবদল নেতা মাসুদ রানা বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই আমাদেরই মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের শারীরিক প্রতিবন্ধী যে কি না টাকার জন্য পড়াশোনা করতে পারছে না, তার একটা চাকুরী দরকার। তাই যুবদলের পক্ষ থেকে আমি তার জন্য ১৫ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকুরীর ব্যবস্থা করি এবং প্রতি মাসে তার যাতায়াত ভাড়ার জন্য ৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
চাকরীর বিষয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী জুলিয়া বলেন, আমার এই চাকরিটি খুব প্রয়োজন ছিল। টাকার জন্য পড়াশোনা করতে পারছিলাম না। এখন আমি পড়াশোনা করতে পারব। তাই যুবদলের মাসুদ রানা ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
এমএইচএস/এসআর