রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে আবারও নতুন ভাবে প্লাবিত হয়ে বাড়ির উঠানে উঠেছে পানি। রোববার দুপুরের দিকে আতারপাড়া চরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে স্কুলে আসতে পারছে না। চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা।
পানি বৃদ্ধির কারণে আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, দিয়ারকাদিরপুর চরের নিচু এলাকার প্রতিটি বাড়ির উঠানে পানি উঠেছে। এতে পদ্মার ১৫টি চরের মানুষ নতুন ভাবে গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন বেকায়দায়।
চৌমাদিয়া চরের সলেমান হোসেন বলেন, 'এই চরে ২০০ পরিবারে প্রতিটি বাড়ির উঠানে নতুন ভাবে পানি প্রবেশ করেছে। তারা কোথাও যেতে পারছেন না। গরু-ছাগল নিয়েও পড়েছেন মহাসমস্যায়।'
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের সাবেক মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, 'পদ্মার মধ্যে ১৫টি চরের আয়তন ৪৬ কিলোমিটার। জনসংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। জমির পরিমাণ ৬ হাজার একর। মানুষের বসবাস প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। জীবন বাজি রেখে চরে বসবাস করি। নিজের যতটুকু জমি ছিল, সব ভাঙনে চলে গেল। এখন নতুন ভাবে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে নিরুপায় হয়ে পড়েছি। কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না, এখন কোথায় যাব চিন্তায় আছি।'
কালিদাসখালী চরের স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, 'পদ্মা ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর মোজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। কালিদাসখালী চরের তিন ভাগের দুই ভাই হারিয়ে গেছে।'
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, 'পদ্মার পানি নতুন ভাবে বৃদ্ধির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।'
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, 'রোববার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৮২ মিটার। বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, 'এ বিষয়ে অবগত হয়েছি।'
এএইচ/এমএ