রাজশাহীর বাগমারায় গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য নিম্নমানের চাল মজুতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। অধিকতর পরীক্ষার জন্য চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, নিম্নমানের চাল বাজার থেকে কিনে গুদামে মজুত করা হয়েছে—এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার দাবি, সব চাল নয়, কিছু কিছু চাল খারাপ ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম উপজেলা খাদ্য গুদামে অভিযান চালায়। দলে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেস আমিন। তারা গুদাম কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি গুদামে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় তিনটি গুদামে পঁচা, দুর্গন্ধযুক্ত এবং নিম্নমানের চাল পাওয়া যায়। বিষয়টি জানতে চাইলে গুদাম কর্মকর্তা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তিনটি গুদামই তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করা হয়।
জানা গেছে, দুস্থ নারী ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে মোট ২৭ হাজার ২৩ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়েছিল।
গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া জানান, কিছু মিল মালিক খারাপ ধান সরবরাহ করেছিলেন। ধান থেকে চাল তৈরি করার পর সেগুলোতে গন্ধ দেখা দেয়। তবে তার দাবি, সব চাল খারাপ নয়।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “বিপুল পরিমাণ পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল পাওয়া গেছে, যা কোনোভাবেই মানুষের খাদ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ অপরাধের দায়ে গুদামগুলো সিলগালা করা হয়েছে।”
এএইচ/আরএন