বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, আর আমরা সেই অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেবো।
বুধবার দুপুরে ঢাকার দোহারের কালেমা চত্বরে ঢাকা জেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন যেভাবে সরাসরি ভোট দিয়ে অভ্যস্ত, সেভাবেই ভোট দিতে চাই। আমরা বুঝি না—ভোট সরাসরি হবে না, না কি আনুপাতিক পদ্ধতিতে হবে। জনগণও জানে না “আনুপাতিক” মানে কী।
তিনি বলেন, এই ঢাকা-১ আসনে বিএনপি থেকে খন্দকার আবু আশফাককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট হওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের অধিকারকে তছনছ করে দেওয়া হয়েছিল।
চলমান ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে যারা আছেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বলবেন—যারা শেখ হাসিনার পাতানো ফাঁদে পা দেয়নি, সেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেলে ভোট দিতে। কারণ, তারা আপোষ করতে জানে না। তারা হলো সৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের প্রতীক।
রিজভী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো—শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পরিবার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার পিতা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখান থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। এই কারণেই তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তমিজ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শামীমা রাহিম শীলা, দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেছের, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসেম বেপারী, বিএনপি নেতা খন্দকার মাসুদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জয়পাড়া কালেমা চত্বর থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়, যা জয়পাড়া থানার মোড় থেকে শুরু হয়ে করমআলীর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এআর/আরএন