বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি সদস্য জাতির সেবায় প্রস্তুত রয়েছেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা রেঞ্জ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত দরবারে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন, ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মহাপরিচালক বাহিনীর নবগৃহীত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-কে সুবৃহৎ এই বাহিনীর বিপুল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবদানের কথা স্মরণ করে মহাপরিচালক বলেন, দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের পাশাপাশি হিল আনসার-ভিডিপিও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। সমতলেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত আনসার সদস্যরা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিবেদিত ও সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
বাহিনীর শৃঙ্খলার মানোন্নয়নে অসাধারণ অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি আরও জানান, বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সংযুক্ত সাধারণ আনসারদের রেশন বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্যদের আস্থা অর্জন ও সংশ্লিষ্ট পেশাদারিত্ব আগামীতে কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণের পথকে সুগম করবে, যা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমাদের দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মাটি ও মানুষের সেবায় ৬০ লক্ষাধিক ভিডিপি সদস্যকে গুণগতভাবে কাজে লাগানো। দুর্যোগ ও জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে এই সুবৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীকে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগই আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির মূল পথ।
সঞ্জীবন প্রকল্প প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, সঞ্জীবন প্রকল্প কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক কর্মহীন জনগোষ্ঠীর উত্তরণের আলোকবর্তিকা। এ প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগ্রত করবে এবং দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করে সমাজকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেবে।
উক্ত সভায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএন