রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ গফুর ও তার পুত্র সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফারাবী (শ্যামল)। তারা দু’জনই একই প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানিয়েছেন।
সোমবার বাগমারা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা এ ঘোষণা দেন। দুর্নীতিমুক্ত বাগমারা গড়ার প্রত্যয়ে বিএনপির এই দুই নেতা ইতোমধ্যে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।
মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক এমএ গফুর বলেন, “শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সারা দেশের মতো বাগমারার মানুষও মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিনের অবিচার, নিপীড়ন ও ঘুষ-দুর্নীতির অবসান চায় বাগমারাবাসী। আমাদের ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। বাগমারার মানুষের সেবা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন দল গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেন, তখন বাগমারা থেকে আমি একমাত্র নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। যে যা-ই বলুক, নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং আমরা নির্বাচনে অংশ নেব।”
অধ্যাপক গফুর উল্লেখ করেন, “১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে রাজশাহী-৩ (বাগমারা-মোহনপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। দীর্ঘ ৮ বছর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আমার পরিবার সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে যুক্ত ছিল।”
তিনি জানান, পিতা ও পুত্র—উভয়েই দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।
সভায় আব্দুল্লাহ আল ফারাবী বলেন, “আমি আমার পিতার আদর্শ অনুসরণ করে এলাকার মানুষের সেবা করতে চাই। বিএনপি একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল এ কারণে আমি এই দলকে হৃদয়ে ধারণ করি। আমাদের পরিবারগতভাবেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। নির্বাচিত হলে বাগমারা থেকে এনজিওগুলোর অপ্রয়োজনীয় প্রভাব কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, উপজেলা মৎস্যদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুনাক্কা, কৃষক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
এএইচ/আরএন