দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির অনুমতি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। একইসঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৩০ টনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ারও দাবি করেছেন তারা। আমদানির অনুমতি না পেলে আজ (বুধবার) থেকেই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে বলেও সতর্ক করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আমদানিকারকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ১৪ আগস্ট সরকার পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) প্রদান করে। এরপর ১৭ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে বাজারে সরবরাহ বাড়ে এবং দামও কিছুটা কমে আসে। কিন্তু ১৯ আগস্ট থেকে হঠাৎ করেই আইপি ইস্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন কোনো আবেদন অনুমোদন পাচ্ছে না।
আমদানিকারকরা অভিযোগ করেন, আইপি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সীমান্তের ওপারে শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। অনেকে ইতোমধ্যে ভারতের বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে ট্রাকে লোড করেছেন। কিন্তু আইপি না থাকায় এসব ট্রাক দেশে ঢুকতে পারছে না। এতে আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
তারা আরও বলেন, যেসব ব্যবসায়ী আইপির জন্য আবেদন করেছেন এবং ইতোমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন, তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় বাজারে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম আবারও বেড়ে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, আমদানিকারক রিপন হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জিএমআরএম/এসআর