গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাকাই ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের শ্রমিক ফেডারেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে খুনি রিফাত মন্ডল সৌরভ (১৬) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫ টার দিকে গাইবান্ধা সদরের নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং সেন্টারের আবাসিক কক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামি রিফাত মন্ডল সৌরভ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতল গ্রামের সামিউল ইসলাম ছানার ছেলে। স্থানীয় হরিপুর গ্রামের নানাবাড়িতে থাকতেন তিনি।
হত্যার শিকার নজরুল ইসলাম গোবিন্দগঞ্জের শীতল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত ১২ টার পর থেকে রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ৬ টার মধ্যে নজরুল ইসলামকে খুন করে নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রামের শহিদুল ইসলামের সেচমোটর ঘরের রাস্তার পূর্ব পাশে মাঠে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, হত্যার শিকার নজরুল ইসলাম একজন মুদির দোকানদার পাশাপাশি বিকাশ, নগদ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় দোকানের কার্যক্রম শেষে নজরুল ইসলাম শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করেন। এরপর রোববার সকাল ৬ টার দিকে শীতল গ্রামস্থ রাস্তা সংলগ্ন মান্নান প্রধানের মেশিন ঘরের পূর্ব পাশে ফাঁকা যায়গায় স্থানীয় লোকজন নজরুলের গলাকাটা অবস্থায় লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মৃত্যুদেহের সুরতালহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য গোবন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং সেন্টারের আবাসিক কক্ষ থেকে রিফাত মন্ডল সৌরভকে গ্রেফতার করে। সৌরভকে জিজ্ঞাসাবদের একপর্যায়ে সে একাই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মর্মে স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত মন্ডল সৌরভ জানায়, নজরুল ইসলামের দোকানের সে নিয়মিত ফ্লেক্সিলোডসহ বিকাশ লেনদেনের নিয়মতি গ্রাহক ছিল। এ দোকানে সৌরভের ১ হাজার ১০০ টাকা বাকী ছিল। প্রায় দেড় মাস পূর্বে রিফাত মন্ডল সৌরভসহ তার সহযোগী আরও ২ জন মিলে নজরুলের দোকান ঘর চুরি করে। এ চুরির ঘটনায় রিফাত মন্ডল সৌরভ স্থানীয় লোকজনের কাছে আটক হলে সৌরভকে মারপিট করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামকে খুন করেছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল হোসেন বলেন, অভিযানে চাকু ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত সৌরভকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করাসহ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন প্রেরণ করা হয়।
টিএইচজে/ এসআর