ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট ফুল হাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে অভ্যুত্থানের সময়কার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। তাকে সেখান থেকে আটক করে পুলিশ।
এক বছর আগে সংঘটিত একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার আজিজুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার এসআই মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। পরে আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় এই হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট, জুলাই মাসের আন্দোলন চলাকালে ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। আরিফুল পিঠে গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
গতকাল শনিবার আজিজুর রহমানের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একদিন পর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
১৫ আগস্ট ৩২ নম্বরে হয়রানির শিকার হওয়ার পর রিকশাচালক আজিজুর বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম। আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।
আরএন