দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ও ছাত্রসংগঠনগুলো প্যানেল গঠনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। শীর্ষ পদে কারা আসবেন এবং কোন সংগঠনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে জোর আলোচনা।
তফসিল ঘোষণার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেনি কোনো সংগঠন। তবে গতকাল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে, যেখানে সহসভাপতি (ভিপি) পদে মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে শরিফুল ইসলাম এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে পারভেজ আকন্দ প্রার্থী হচ্ছেন।
আলোচনায় রয়েছে ৫ থেকে ৬টি সম্ভাব্য প্যানেল, যার মধ্যে রয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়। ইসলামী ছাত্রী সংস্থা মেয়েদের হলে আলাদা প্যানেল দিতে পারে।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। ক্যাম্পাসের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আবাসিক হলে রাকসুকেন্দ্রিক আলোচনা জমে উঠেছে। কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছেন।
শীর্ষ পদগুলোতে আলোচনায় রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, সালাউদ্দিন আম্মার, ফজলে রাব্বি ফাহিম রেজা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, ছাত্র ইউনিয়নের রাকিব হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আলিফ শাহরিয়ার এবং সাংবাদিক নোমান ইমতিয়াজ। সামাজিক–সাংস্কৃতিক প্যানেল থেকেও কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। কোনো সংগঠন এখনো নির্বাচন পেছানোর দাবি করেনি। তিনি আশা করছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আরএইচএফ/এসআর