নোয়াখালীতে শিশু হত্যার অভিযোগে সৎমা কারাগারে

Published : Monday, 11 August, 2025 at 6:29 PM Count : 71

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবি কুলসুম সুমাইয়া (৩) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় শিশুটির সৎমা শিউলি আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে, গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।

জানা যায়, সুমাইয়া তার সৎমা শিউলি আক্তারের (২৫) সাথে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। শনিবার দুপুরের দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিউলি তার সৎমেয়ে সুমাইয়াকে মারধর করেন। এরপর তাকে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ান। বিকেলের দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পান তার সৎমা। পরে বিষয়টি তিনি তার প্রবাসী স্বামীকে জানান। পরে বাসায় ডাক্তার নিয়ে আসেন, যিনি জানান শিশুটি অনেক আগে মারা গেছে। প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে শিউলি একই দিন রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে সুমাইয়ার মরদেহ স্বামীর গ্রামের খানপুর গ্রামে নিয়ে যান দাফনের জন্য। পরের দিন সকালে শিশুটির মরদেহ গোসল দেওয়ার সময় স্থানীয়রা তার কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ বিষয়টি জানান।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ৯৯৯-এ একটি অভিযোগ আসে যে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে তার সৎমা মেরে ফেলেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মৃত শিশুর গলা ও ডান কানে আঘাতের চিহ্ন থাকার কারণে সৎমাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

ওসি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহত শিশুর দাদী মারজাহান বেগম বাদী হয়ে সৎমা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এমআর/আরএন

সম্পর্কিত বিষয়: নোয়াখালী বেগমগঞ্জ