স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় অবরোধ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সকল রুটের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার মহাসড়কের সকল রুটের অবরোধ করে বিক্ষোভ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-পাবনা ও ঢাকা-রংপুর রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে উত্তরবঙ্গ অচল করে দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১০আগষ্ট) ৪৮ ঘণ্টা সময় পার হওয়ার পর রোববার তারা উত্তরবঙ্গের সব মহাসড়ক বন্ধ করে দেন। এসময় ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও খুলনাগামী মহাসড়কে দুরপাল্লার শত শত বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ জানান, শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ায় রাস্ত প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ থাকে। সেই সময় কোন প্রকার যান চলাচল করতে পারেনি। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝানো হয়, অনড় অবস্থানে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এর পর প্রায় দেড় ঘন্টা পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সকল রুটের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসময় মেরাজ সহ হৃদয় সরকার সহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ৯ বছর বছর ধরে ভাড়া করা ভবনে নানা দুর্ভোগের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। সাত দফায় ডিপিপি সংশোধন করে ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। পরে ব্যয় কমিয়ে ৫১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায় নামিয়ে আনার পরও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি একনেক সভার এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, পরিবেশের কথা বলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ থেকে বিরত থাকার কোনো সুযোগ নেই। আমি অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আহ্বান জানাই, অবিলম্বে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি এসময় বলেন, আমি মনে করি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এই এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি ছিল। আগের সরকারের সময় থেকেই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সকল মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে এখানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জায়গা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করেননি।
এবি/ এসআর