Sunday | 12 October 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Sunday | 12 October 2025 | Epaper
BREAKING: ট্রাইব্যুনালের ১৫ অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে      জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ২ দিন পেছালো      জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশে উত্তেজনা, ছত্রভঙ্গ করলো পুলিশ       এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা      দু’একজন উপদেষ্টা ও প্রশাসন একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে: পরওয়ার      এবারের নির্বাচনে আইনের শাসন কাকে বলে দেখাতে চাই: সিইসি      ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত জয়      

টল ঘর না থাকায় ভোগান্তিতে ব্যবসায়ী-ক্রেতারা

Published : Sunday, 10 August, 2025 at 2:43 PM  Count : 214

প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হয়েও একটি টল ঘরের অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরবাসী। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে এই মাছ বাজার। 

এই বাজারটি পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় এখানে প্রতিদিন সহস্রাধিক ক্রেতার সমাগম ঘটে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। কিন্তু এই বাজারে কোন টল ঘর না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। 

এছাড়াও, গ্রীষ্মের প্রচন্ড রৌদ্রময় পরিবেশে ঘাম ঝরিয়ে চলে বেচা-কেনা। এতে করে ঋণের টাকায় জর্জরিত ব্যবসায়ীরা মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু প্রতিদিন বাজারের দোকানিরা মোট অংকের খাজনা দিলেও এর সুফল না পাওয়ার ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত একটি টল ঘর নির্মাণের দাবি তাদের।

বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রুহুল আমীন বলেন, 'আমাদের বাজারে টল ঘর না থাকায় আমরা অনেক সমস্যায় আছি। এই বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই বাজারে বৃষ্টির পানিতে কাঁদা হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে গত তিন দিন বাজারে আসি নাই। এ কারণে কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে পরিনি। একটি টল ঘর হলে নিয়মিত মাছ বিক্রি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো থাকতে পারতাম।'

মাংস ব্যবসায়ী সাগীর হাওলাদার বলেন, 'প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে খাজনা দেই কিন্তু কোনো প্রকার সুবিধা পাচ্ছি না। রোদ-বৃষ্টিতে আমাদের মাংসের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। একটি টল ঘর হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।'

বাজারের ক্রেতা বাবুল বলেন, 'বাজারে নিয়মিত টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা হয়। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে। আবার ব্যবসায়ীরা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেন।'

আরেক ক্রেতা সালাম বলেন, 'বাজারে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্রয়-বিক্রয় হলেও এখানে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনা ক্রেতা-বিক্রেতারা। বর্ষায় কাঁদা পানি আর গ্রীস্মে প্রচন্ড গরম মধ্যেই চলে বেচাকেনা। তাই এই মাছ বাজার এবং কাঁচা বাজারে দুটি টল ঘর অতি জরুরি।'

বাজারের ইজারাদার মো. হাসান বলেন, 'একটি টল ঘর নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি পৌরসভার পক্ষ থেকে অতিদ্রুত একটি সুব্যবস্থা হবে, যাতে করে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পায়।'

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কালকিনি পৌর প্রশাসক সাইফ-উল আরেফিন বলেন, 'ইতিমধ্যে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। আমরা জায়গাটি পরিদর্শন করে কিভাবে একটি টল ঘর নির্মাণ করা যায় এবং যাতে সেখানে কাঁদা পানি না জমে আমরা সেই ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করবো।'

জেএল/এমএ
সম্পর্কিত   বিষয়:  মাদারীপুর   কালকিনি   বাজার   টল ঘর    ব্যবসায়ী   ক্রেতা  


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close