নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাস খালে পড়ে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের নিহত সাত জনের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এ সময় পাশাপাশি কবরস্থানে থাকা ছয় জনের কবর জিয়ারত করেন এবং নিজেই তাদের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন।
রোববার সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের বাড়িতে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় প্রবাসী বাহার ঘটনার জন্য মাইক্রোবাসের মালিক এবং চালককে দায়ী করে তাদের বিচারের দাবি করেন।
রেজাউল করিম বলেন, 'যে মর্মান্তিক ঘটনা এখানে সংঘঠিত হয়েছে এটা বাংলাদেশ নয় পুরো দুনিয়ার মানুষকে আলোড়িত করেছে। আমরা প্রত্যাশা করি এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়। চালককে বার বার বলার পরও সে কর্ণপাত করেনি, সে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালিয়েছে, চালকের লাইসেন্স ও বয়সের বিষয়ও খতিয়ে দেখা দরকার।'
তিনি বলেন, মালিক পক্ষ একটা ট্রিপ শেষ করার আগেই আরেকটা ট্রিপ কন্টাক্ট করেন এবং চালককে বলে দেওয়া হয় এতো সময়ের মধ্যে আরেকটা ধরতে হবে, তখন চালকরা বেপরোয়া হয়ে যায়। এ কাজটি মালিক করেছে কি না তাও দেখতে হবে। এছাড়া মালিক না কি নিহতদের স্বজনের গায়েও হাত দিয়েছে। আমরা মালিককে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি কামনা করছি। আর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারী এড. রেজাউল ইসলাম খান সুমন, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের সেক্রেটারী হারুনুর রশিদ, উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন আজাদ প্রমুখ।
গত ৬ আগস্ট (বুধবার) প্রবাসী বাহারকে নিয়ে তার স্বজনরা ভোরে বাড়ি ফেরার পথে বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তার পরিবারের চার জন নারী ও তিন শিশু মারা যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (০৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জ থানায় প্রবাসী বাহারের বাবা আবদুর রহিম বাদি হয়ে চালক এনায়েত হোসেন আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আকবর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা এলাকার পাটওয়ারী বাড়ির বাসিন্দা।
আরএইচ/এমএ