ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষিকা বিমান দূর্ঘটনায় নিজের জীবন বাজি রেখে ২০ জন ছাত্রের প্রাণের বিনিময়ে নিজের জীবন বিসর্জন দেওয়া নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও বগুলাগাড়ীর চৌধুরী পরিবারের সন্তান, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাতিজি মাহরিন চৌধুরীর জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শোকার্ত মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানান। জনাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে ঢাকা থেকে তার মরদেহ ৩.২৫ মিনিটে আসার পর তাকে এক নজর দেখার জন্য তার বাবার বাড়িতে মানুষ ভীর করেন।
এদিকে জনাজা শুরু হওয়ার আগে তার স্বামী মনসুর হেলাল উপস্থিত শোকার্ত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, তার স্ত্রী এই এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য কাজ করছিলেন এবং বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন।
তার জন্য দোয়া প্রত্যাশা করে তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী আপনাদের অনেক ভালোবাসতেন। আজকের এই উপস্থিতি তারই প্রমাণ। আমার এই দুর্দিনে আমার পরিবারের পাশে যারা আছেন সকলের কাছে আমি এবং আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, মাহরীন চৌধুরী একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। কারো প্রতি কখনো অন্যায় করেননি এবং অন্যায় কাজে জড়াননি। শিক্ষা বিস্তারে তিনি কাজ করছিলেন।
এসময় জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এইচএসএইচ/এসআর