গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রয়োজনে মরদেহ কবর থেকে তোলা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত না হওয়া নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রয়োজনে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক ঘটনায় নিহতদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।

শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে নিহতদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনায় অনেক সাংবাদিক জীবন বাজি রেখে লাইভ করেছেন, তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এই লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে দায় কার, তা নির্ধারণ করবে এবং পুরো বিষয়টি সবার সামনে উপস্থাপন করবে।”

থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় কতজন জনবল প্রয়োজন, কী ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে—এইসব খোঁজখবর নিতে আমরা এখানে এসেছি। যেসব যাত্রী বিদেশ থেকে আসেন বা যান, তাদের কী ধরনের সমস্যা হয়, ইমিগ্রেশনে কোনো জটিলতা তৈরি হয় কি না, সেগুলো দেখতেই আমি আজ বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসেছি।”

তিনি আরও বলেন, “থার্ড টার্মিনালটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্মিত হয়েছে। আগে বিদেশগামী বা বিদেশফেরত যাত্রীদের যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো, এটি চালু হলে আশা করা যায় সে ধরনের সমস্যাগুলো থাকবে না। এর অপারেশনাল ক্যাপাবিলিটিও অত্যন্ত উন্নত।”

কবে নাগাদ থার্ড টার্মিনালটি চালু হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এটি আমাদের আওতায় নয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থা যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই এটি উদ্বোধন করা হবে। আমাকে জানানো হয়েছে, থার্ড টার্মিনালের ৯৯.১৮ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।”

আরএন