পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, এটা আমার জন্যও প্রথম সভা, এখানে অনেক কিছু শেখার ও জানার রয়েছে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো রয়েছে। এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা গেলেই বাস্তবায়নে অগ্রগতি বাড়বে।
শনিবার সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজের মিনি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা কমিটির সভা শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন এসব কথা সাংবাদিকদের বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, আজ রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা কমিটির একটি ফলপ্রসূ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাকরি সকলের সাথে আলোচনা করে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে, যদি সকল পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তির বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, কমিটি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুপারিশ প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কমিটির সদস্যরা জানান, বর্তমান ইন্টারিম সরকার চুক্তির বাস্তবায়নের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের সভায় চুক্তির আওতায় ভূমি সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ চুক্তির মূল দিকগুলো বাস্তবায়ন ও ভূমি সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, কমিটি অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
৮ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কনকন চাকমা, উপ-সচিব মঙ্গল চন্দ্র পাল, উপ-সচিব শামসুল হক, এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা।
এসআই/আরএন