লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৪ শিশু, ৩ নারী ও ৩ পুরুষসহ মোট ১০ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে। খবর পেয়ে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোররাতে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৫ নম্বর পিলারসংলগ্ন এলাকার চওরাটারি নামক স্থানে ভারতের ৭৮ পদ্মা বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
জানা গেছে, ওইদিন ভোর ৪টার দিকে গিরিধারী নদী পাড়ি দিয়ে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরে স্থানীয়রা তাদের দেখে সন্দেহ হলে বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দুর্গাপুর বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।
পুশ-ইনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন—একই পরিবারের শ্রী মন্টু রায়, তার ছেলে শ্রী পলাশ রায়, স্ত্রী শ্রী আর্চনা রানী, মেয়ে শ্রীমতী মিশুরানী; একই এলাকার মহেন্দ্র চন্দ্র রায়ের মেয়ে ফুলরানী বর্মণ ও ছেলে শ্রী হরি কান্ত রায়; অনন্ত চন্দ্র বর্মণের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ; হরি কান্ত বর্মণের শিশু পুত্র সুরভী (৫), হরি কান্তের শিশু কন্যা স্বপ্না বর্মণ (২) এবং শ্রী পলাশের শিশু কন্যা পল্লবী রায় (১০ মাস)। আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর ক্যাম্প কমান্ডার সাইদুর রহমান।
বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। প্রায় ১০ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ভারতে যান এবং সম্প্রতি হরিয়ানা রাজ্য থেকে বিএসএফ তাদের ধরে এনে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে। আটক ব্যক্তিরা সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী।
১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “পুশ-ইন হয়ে আসা ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে। তারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
এমএস/আরএন