রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্যঘোষিত সমন্বয় কমিটি থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় তিনজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। জানা গেছে, আরও কয়েকজন নেতা পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় কমিটির তালিকা প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পৃথক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগকারীরা হলেন বাগমারা উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাদিউজ্জামান রাফি, ফুয়াদ হাসান গানিম ও রাফিউল ইসলাম রাহুল।
গত ১৭ জুন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বাগমারা উপজেলা সমন্বয় (আহ্বায়ক) কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটিতে আলি মর্তুজাকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং রফিকুল ইসলাম ও আল-আমিনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়। এছাড়া আরও ১৭ জনকে সাধারণ সদস্য হিসেবে রাখা হয়। কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মাস বা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে হাদিউজ্জামান রাফি বলেন, “আমি জানি না, কে কীভাবে আমার নাম তালিকায় যুক্ত করল। আমি আগেই জানিয়েছিলাম, রাজনীতি করতে চাই না। তবুও আমার নাম রাখা হয়েছে। আমি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমাকে সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কমিটির আরেক পদত্যাগকারী ফুয়াদ হাসান গানিম বলেন, “আমি বাগমারার একটি বিএনপি পরিবারের ছেলে। আমি একাধিকবার না করার পরেও তারা আমার নাম যুক্ত করেছে, তাই আমি পদত্যাগ করেছি।”
সদস্য রাফিউল ইসলাম রাহুল বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে চাই না। আমি একজন ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা ঠিকভাবে চালাতে চাই। তাই কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।”
এ বিষয়ে কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক আলি মর্তুজা বলেন, “পদত্যাগকারীরা বিভিন্ন চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।”
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমরান ইমন বলেন, “আমাদের সঙ্গে বেশিরভাগই তরুণরা যুক্ত হচ্ছে। তাদের পারিবারিক চাপের কারণেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”
এএইচ/আরএন