গোপালগঞ্জে ছয়টি যানবাহনের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ দু'জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। রোববার গভীর রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামান ও খুলনার সোনাডাঙা থানার দেবেনবাবু রোডের আব্দুল হামিদ ব্যাপারীর ছেলে আরমান পরিবহনের হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারি।
গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোমান মোল্যা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আরমান পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যাত্রীদের উদ্ধারকালে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসের একটি বাস পেছন দিক থেকে অপর একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে সামনে থাকা একটি কার্ভাডভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এ সময় উদ্ধার কাজ চলাকালে মহাসড়কে দেয়া পুলিশের ব্যাড়িকেডে এসবি পরিবহন ধাক্কা দেয়ার পরই বলেশ্বর পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস এসবি বাসের পেছনে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে নিয়ে যায়। এতে ছয়টি যানের সিরিজ সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে আরমান পরিবহনের হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারী নিহত হন।
এছাড়াও, উদ্ধার কাজে থাকা ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামানসহ ২১ জন আহত হন। পরে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামানের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলে দুই ঘন্টা পর ঢাকা খুলনা-মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রোমান মোল্যা বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচ/এমএ