রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী খেতুরী ধামে হিন্দু ও আদিবাসী সনাতনী সম্প্রদায়ের মিলনমেলা ও আলোচনা সভায় স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনা হয়। হামলার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনটির গোদাগাড়ী উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত শুক্রবার প্রায় ১২ হাজার ভক্তের জন্য মহাপ্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি সকালবেলায় বিমানে রাজশাহী এসে অনুষ্ঠান শেষে বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খেতুরী ধামে হামলা চালান। তারা মন্দিরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এসময় খেতুরী ধামের ম্যানেজার গোবিন্দ চন্দ্র পাল এবং হিন্দু-আদিবাসী সনাতন সম্প্রদায়ের সদস্য সহদেব কুমার পান্নাকে মারধর করে মন্দির থেকে বের করে দেওয়া হয়। এতে ভীত হয়ে উপস্থিত সব ভক্ত মন্দির ত্যাগ করেন। ফলে নিরাপত্তার অভাবে হিন্দু ও আদিবাসী সনাতনী সম্প্রদায়ের এই মিলনমেলা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এ ঘটনার পর তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাই থানায় মামলা করে ঝামেলা বাড়াতে চাননি। তবে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি শ্রী প্রণয় কুমার দাস (আলোক মাস্টার), বৈষ্ণব সৎ সংঘ গোদাগাড়ী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সহদেব কুমার পান্না, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট গোদাগাড়ী উপজেলার সদস্য মলিন সরদার প্রমুখ।
আরএইচ/আরএন