ঈদের ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। আজ ছুটির শেষ দিন হওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে গেছে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া ঘাটে আজ ঢাকামুখী যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ করা গেছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে যাত্রীবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীমুখী মানুষ দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পারাপারের জন্য লঞ্চঘাটে ভিড় করছেন। তবে মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের ব্যবধানে যাত্রী বোঝাই লঞ্চগুলো ঘাট ছাড়ছে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরছেন কারখানা শ্রমিক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "ঈদে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। সঙ্গে আছে আমার স্ত্রী। কর্মের তাগিদে ফিরে যেতেই হবে। দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক মানুষের ভিড়। রাস্তায় তেমন সমস্যা হয়নি, কিন্তু ঘাটে এসে বেশ ভিড়ের মুখে পড়েছি। ভিড়ে যাতে কেউ হারিয়ে না যায়, তাই এক হাতে লাগেজ, আরেক হাতে শক্ত করে স্ত্রীকে ধরে রেখেছি।"
ফরিদপুর থেকে গাজীপুর যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিক সেফালী বেগম। তিনি বলেন, "একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলাম। এখন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে কর্মস্থলে ফিরছি।"
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের একজন ম্যানেজার বলেন, "সকালের তুলনায় দুপুরের পর যাত্রীদের চাপ আরও বেড়েছে। লঞ্চ পূর্ণ হলেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। চাপ থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে না। বর্তমানে ২০টি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা এসেই পার হতে পারছেন।"
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, "সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দুপুরের পর কিছু যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হলেও তা দ্রুত কেটে যাচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার যানবাহন পার হয়েছে। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এসআই/আরএন