ঈদের ছুটিতে পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ঘরমুখো মানুষ ইতোমধ্যেই গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেশি থাকলেও কোথাও তেমন কোনো যানজট দেখা যায়নি। মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে র্যাব-১১, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম সড়কে কাজ করছে।
রাজধানী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৩টি রুট ব্যবহার করে পূর্বাঞ্চলের ১৮ জেলার মানুষ ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন। এই মহাসড়ককে যানজট, দুর্ঘটনা, ছিনতাই ও ডাকাতিমুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে।
এদিকে র্যাব-১১ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি পরিচালনা করছে। র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ. এম. সাজ্জাদ হোসেন জানান, "মহাসড়কে বর্তমানে কোনো যানজট নেই, তবে গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি। ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে কাজ করছে।"
তিনি আরও বলেন, “এই মহাসড়কে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে আমরা আগ্রাসী এবং বিস্তৃত পেট্রোল ডিউটি পরিচালনা করছি। ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে আমাদের কার্যক্রম তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঈদের পূর্ববর্তী ধাপ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়াও ঈদের দিন ও ঈদ-পরবর্তী সময়েও আমাদের চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি চলবে। শহরকেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও একইভাবে পেট্রোল ডিউটি ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।”
এসএস/আরএন