আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গরু চোরাচালান এবং কোরবানির চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দেশীয় বাজারে কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত রাখা এবং খামারিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সীমান্তজুড়ে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ ঠেকাতে আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। দেশের খামারিরা যেন ন্যায্য দাম পান এবং বাজারে অস্থিতিশীলতা না সৃষ্টি হয়—সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।”
ঈদের পর কোরবানির চামড়া পাচার রোধেও সক্রিয় রয়েছে বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “চামড়া পাচার রোধে আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত চৌকিগুলোতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।”
জননিরাপত্তা এবং ঈদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে সীমান্ত এলাকায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে বিজিবি। বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া ‘পুশ-ইন’ প্রবণতা নিয়েও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিএসএফকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। জানানো হয়, কোনো অবস্থাতেই অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকারী ব্যক্তিকে গ্রহণ করা হবে না। তবে যদি কোনো ব্যক্তি প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে তার পরিচয় নিশ্চিত করার পর প্রচলিত কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে গ্রহণ করা হবে।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, কোরবানির পশুর সরবরাহ, বাজারের স্থিতিশীলতা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এমএস/আরএন