সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ছোটবিন্নাদাইর গ্রামে একটি বহুতল ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে লামিয়া (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত লামিয়া ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লামিয়ার বাবা-মা ঢাকায় চাকরির সুবাদে বসবাস করায় সে তার দাদার বাড়িতে থাকত।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ২টার পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে রাত ১১টার দিকে তার নানা আব্দুর রশিদ শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
রাত আনুমানিক ২টার দিকে গ্রামের একটি বহুতল ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত শিশুর মুখে টেপ লাগানো ছিল, গলায় গামছা প্যাঁচানো এবং দুই হাত-পা বাঁধা ছিল।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, লামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার উদ্দেশ্যে তার দেহ সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম আলী বলেন, “শিশুটিকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসবি/আরএন