মায়ের মৃত্যুতেও প্যারোলে মুক্তি পাননি রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আসাদুজ্জামান আসাদ। তবে কারাফটকে মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি।
সোমবার রাত সোয়া ৮টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখেন আসাদুজ্জামান। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।
স্বজনেরা জানান, আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম (৮০) সোমবার বিকেলে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামানের প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। তবে নিরাপত্তার কারণে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু কারাগারের ফটকে মায়ের মরদেহ দেখার সুযোগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
জানা গেছে, আসাদুজ্জামানের বাড়ি মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায়। তাঁরা সাত ভাইবোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদুজ্জামান কারাগারে, অন্য চার ভাইও আত্মগোপনে রয়েছেন।
আত্মগোপনে থাকা ভাইয়েরা মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগও পাননি। শুধু উপস্থিত ছিলেন সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান। ভাই সংসদ সদস্য হলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। জীবিকা নির্বাহ করেন প্রাইভেট কার চালিয়ে।
স্বজনেরা জানান, বিকেলে বাড়িতে গিয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখেছেন আক্তারুজ্জামান। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত শঙ্কার কারণে তিনিও মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি।
আরএইচ/আরএন