রাজবাড়ী সদর উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নের বিলনয়াবাদ গ্রামে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০টার দিকে বিলনয়াবাদ গ্রামের চান্দু শেখের বাড়ির সামনে অবস্থিত একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, চান্দু শেখের বাড়ির সামনের পুকুরটি সাধারণত বর্ষাকালে পাট জাগ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন পানিশূন্য থাকলেও সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে কিছুটা পানি জমে এবং পুকুরটি কচুরিপানায় ঢেকে যায়। সোমবার সকালে চান্দু শেখের বোন আলেয়া বেগম পেঁপে পাড়তে গিয়ে পুকুরের মাঝখানে একটি অচেনা বস্তু ভাসতে দেখে সন্দেহ হলে কাছে গিয়ে দেখতে পান সেটি একটি মানুষের মরদেহ। তিনি স্থানীয়দের বিষয়টি জানান, পরে তারা পুলিশে খবর দেন।
চান্দু শেখের স্ত্রী ছালেহা বেগম বলেন, “আমাদের বাড়ির সামনে এই পুকুরে কেবল আমরা পাট জাগ দিই। বছরের বাকি সময় পুকুরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এখনও পুকুরটি কচুরিপানায় ভরা। সকাল ৮টার দিকে আমার বোন আলেয়া বেগম পেঁপে পাড়তে গিয়ে কচুরিপানার ভেতর মরদেহটি ভাসতে দেখে আমাকে ডাক দেয়। আমি দৌড়ে গিয়ে মরদেহ দেখে এলাকাবাসীকে খবর দিই। পরে তারা থানায় জানায়।”
রাজবাড়ী সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাসেল মোল্লা বলেন, “সকাল ১০টার দিকে বিলনয়াবাদ গ্রামের চান্দু শেখের পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছর। এখন পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহটি প্রায় ৬-৭ দিন ধরে পুকুরে ছিল, যার ফলে মুখমণ্ডল পচে কালো হয়ে গেছে। এটি কোনো মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ হতে পারে বলে ধারণা করছি।”
তিনি আরও জানান, মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ফরিদপুর থেকে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট এসেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এসআই/আরএন