ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়ার হাট বাজার সংলগ্ন এয়াকুব মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এবং পার্শ্ববর্তী লালমোহন উপজেলার রহমগঞ্জ ইউনিয়নের সীমানা বর্ডারে তেগাছিয়া সেতু পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক এখন যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দ আর বড় গর্তে ভরা।
এটি লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ রায়চাঁদ বাজার থেকে চরফ্যাশন উপজেলা শহরে প্রবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দুই উপজেলার প্রায় ২৭টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করে উপজেলা সদরগুলোতে আসা-যাওয়া করে থাকে। সড়কের কোথাও কোথাও আড়াই ইঞ্চি থেকে সাত ইঞ্চি পর্যন্ত গর্ত থাকায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। বেশ কিছু জায়গায় উঠে গেছে পিচ ও কার্পেট। বৃষ্টি হলেই এসব জায়গায় পানি জমে। প্রায় ৪ বছর ধরে সড়কটির কোনো সংস্কার কাজ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আ. গফুর জানান, আমরা এই রাস্তা ব্যবহার করতে করতে জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছি। সড়কটি দ্রুত নতুন করে তৈরি হওয়া উচিত। এই সড়কের পাশেই এয়াকুব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূঁইয়ার হাট নূরানী ও হেফজখানা, তোফায়েলিয়া মসজিদ ও মাদ্রাসা, শামসুল উলুম কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
এয়াকুব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. আবদুল হক জানান, সড়কটির বেহাল দশার কারণে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হন তেমনি আশপাশে কোনো রোগী অসুস্থ হলে উপজেলা সাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছাতে জরুরি সেবায় নিয়জিত এ্যাম্বুলেন্সগুলো খানাখন্দে পড়ে বিকল বা বিলম্ব আর বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
ঈদকে সামনে রেখে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি এই শিক্ষকের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এয়াকুব মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে পুরো সড়কের অবস্থা খারাপ। সড়কটির বিভিন্ন স্থান জুড়েই রয়েছে ভাঙ্গা ও উচু-নিচু গর্ত। সড়কে ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটির বেশির ভাগ অংশের পিচ ঢালাই, ইট ও খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়ক দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলাচল করছে। বৃষ্টির পানি জমে গেলে গর্তের আকার বোঝা যায় না এই সড়কে। চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, যাত্রীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের।
বাবুল নামে ব্যাটারিচালিত এক রিকশাচালক জানান, এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে রিকশা চালাতে গিয়ে যন্ত্রপাতি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। শরীর ব্যথা করে। খানাখন্দের কারণে ঝাঁকুনিতে যাত্রীদের কোমর ভাঙার উপক্রম হয়। বিভিন্ন সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ জগলুল ফারুক জানান, এই সড়কটি উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা আছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো পাশ হয়নি। আগামী বছরের রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প হবে।
এসএফ/এমএ