বরগুনার আমতলীতে মা মনষার দেবতার মাধ্যমে সকল রোগের চিকিৎসার নামে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অ-শিক্ষিত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিথী আক্তার (৩০) ও তার স্বামী মো. বাবুল মিয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এই প্রতারক দম্পতির বাড়ী তালতলী উপজেলার হাড়িপাড়া গ্রামে। তবে বিথি আক্তারের পিতার বাড়ী আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ঘোপখালী গ্রামে।
গত ১ থেকে দুই বছর ধরে এই দম্পতি সাধারণ মানুষের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। বুধবার সকালে বিথি আক্তার ও তার স্বামীকে আমতলী থানার সামনে দেখতে পায় আমতলী সদর ইউনিয়নের ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের ভুক্তভোগি মো. সুমন। দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাথে নিয়ে সুমন বিথি ও বাবুলকে আটক করে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ভুক্তভোগি সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসে। ভুক্তভোগিরা মারমুখি হওয়ায় আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মহি উদ্দিন আপানুর আমতলী থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এসে বিথী ও বাবুল দম্পতিকে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগি তাসলিমা বেগম, খাদিজা বেগম, লায়লা বেগম, বজলু গাজি, হেলেনা, আজিজুল, তামান্না, শিরিনা, সাবিনা, গনি খলিফা, আলাল উদ্দিন, বেবি বেগম, ছাহেরা খাতুনসহ শতাধিক ভুক্তভোগি জড়ো হোন।
ভুক্তভোগি বজলুর রহমান বলেন, আমার নাতী জন্ম থেকে বাক প্রতিবন্ধি। তাকে কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
ভুক্তভোগি শিরিনা বলেন, আমার একটি সমস্যা সমাধানের কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। এভাবে ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে বিভিন্ন রোগের সমাধানের কথা বলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
জনতার হাতে আটক বিথি আক্তার আক্তার ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা আমাকে খুশি হয়ে কিছু টাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল সিকদার বলেন, এই প্রতারকরা ছোটনীলগঞ্জ গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। এই প্রতারক চক্রের কঠিন বিচার চাই।
এ বিষয় আমতলী থানার উপ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বিথি ও বাবুল দম্পতিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগিরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএএসকে/ এসআর