শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবৈধ ভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার গোবিন্দনগর, ছয়আনী পাড়া, রাবারড্যাম, চার আনীপাড়া, বালুয়াকান্দা বাজার ও শিমুলতলা এলাকায় দিনব্যাপী যৌথ ভাবে ওই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান।
সাজাপ্রাপ্ত মো. সাজিত (২৬) ময়মনসিংহ জেলার চুরখাই এলাকার বাসিন্দা।
সূত্র জানায়, বাংলা ১৪৩১ সনে উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর কয়েকটি মৌজার ইজারার মেয়াদ সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। এদিকে, মূল নদীতে বালু না থাকায় চলতি বাংলা ১৪৩২ সনের জন্য নতুন করে নদী দুটি ইজারা প্রদান করা হয়নি। এ সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রচারণা করা হয়। কিন্তু এরপরও কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার ভোগাই নদীর গোবিন্দনগর, ছয় আনী পাড়া, রাবার ড্যাম, চারআনী পাড়া, বালুয়াকান্দা বাজার ও শিমুলতলা এলাকায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এবং বিশেষ টহল অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানে অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে সাজিত নামের এক ব্যক্তিকে এক লাখ জরিমানা, ২০টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও ১৮টি বাঁশের মাচাসহ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জামাদি অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে ওই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনামূলক ব্যানার স্থাপন করা হয়।
ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা সংশোধীত আইন ২০২৩ অনুসারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলতি বাংলা সনের জন্য ইজারা দেওয়া হয়নি। তাই কোনো ভাবেই এই দুই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। যদি কোনো ব্যক্তি আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা ও ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভলান্টিয়ার টিম সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে সহায়তায় ছিলেন পুলিশ বাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার ও এলাকাবাসী।
এমএস/এমএ